১৪ মে
ফিরে এসেছি আবারো, যেখানে বার বার ফিরে আসবো সেখানেই ফিরে এসেছি। প্রায় বেশকিছু দিন হলো কিছু লেখা হয়ে উঠেনি, শতখানেক সমস্যা,বিপদ পেরিয়ে আবার ফিরে এসেছি, বসছি লিখতে। না, এখনো শেষ হয়নি, হয়নি সমস্যার সমাধান। জানি না আধো হবে কিনা তবে হাল ছাড়ছি না আমি। সেমিস্টার ফাইনালের চাপে প্রায় চ্যাপ্টা হওয়া অবস্থা নিয়ে লিখতে বসেছি, জানি না কতদুর পর্যন্ত যাবে। তবে শেষ করেই উঠবো ভাবছি।
সেদিন সম্ভবত ১৪ মে ছিলো, আমি সকালের বাসের টিকিট সংগ্রহ করলেও কোন কারনে হয়ে উঠেনি করে, তারপর বিকেলে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ঢাকার বাস ধরে চলে আসি ঢাকায়। আসতে আসতে অন্ধকার হলেও শহরের এতো রঙিন আলোয় আলোকিত হয়ে আছে কিন্তু এতো বেশি গাড়িঘোড়া যা আমায় বিরক্ত করে বেশির ভাগ সময়। আমি শান্তি প্রিয় মানুষ, জীবনকে সহজ ভাবে চলনা করতে পছন্দ করি, সুস্থ জীবনযাপন করতে পছন্দ করি। ঝামেলা দেখলে সেটার ১০০ গজের মধ্যে যাই না। এই জীবনে এসে পরিবার আর মায়াকে ছাড়া কিছু ভাবিনি, কখনো ভাবতেও হয়নি, কারন এই জীবনে এসে এরাই আমাকে সবচেয়ে বেশি সুখী করেছে, কিন্তু ইদানিং অদ্ভুত লাগছে সব, মনে হচ্ছে নিমিষেই অদৃশ্য হয়ে যাবে।
পরের দিন শনিবার, দুপুর দুপুর ভাব এমন সময়ে বের হই, শহরের ভীড় ঠেলে উঠি এক রঙিন বাতিতে মোড়ানো সাজসজ্জায় ভরপুর রেস্টুরেন্টে, অপেক্ষা করছিলাম উতলা হয়ে, তবে ভীত ছিলাম কিছুটা, কিভাবে শুরু করবো, কি হবে, কিভাবে দাড়াবো, সোজা হয়ে বসবো নাকি কাত হয়ে, পাশে তাকাবো নাকি তার চোখের দিকে এতো সব ভাবতে ভাবতে তারা দুজন নয় সাথে খুকুমণিকে সহ মোট ৩জন আসলো। আমার কেমন যেন খুব আপন লাগছিলো তাদের সবাইকে। বেশকিছুক্ষন কথা বলে আরো আপন লাগছিলো। তারা চাচ্ছিলো আমি তাদের সাথে রাতের খাবার খাই, শুধু যে তারাই চাচ্ছিলো এমনটা নয়, আমি হয়তো তাদের চেয়েও বেশি চাইতাম কিন্তু আমার আজকে নিজ বাড়ি ফিরে যেতেই হবে, তাই রাতের জায়গা সেটাকে দুপুর করলাম। আমি এতো বেশি উত্তেজিত যে আমি ঘামতে ছিলাম কিন্তু চেষ্টা করতেছিলাম স্বাভাবিক থাকার কারন ঘেমে আমার শার্ট টা না আবার নষ্ট হয়ে যায়।
রুম থেকে ব্যাগে জিনিসপত্র গুছিয়ে বের হলাম, মায়া অপেক্ষা করতেছে, কারন আমি চিনি না, আমায় সাথে করে নিয়ে বাসায় যাবে। কিন্তু হঠাৎ কেমন ভয় লাগতেছিলো, সেই একই ভাবনা কিভাবে কথা বলতে হবে, কিভাবে তাকাতে হবে, বসতে হবে এসব যা ও শুনলে বকবে, যে এতো ভীতু কেন তুমি। আমিও বীরপুরুষের মতো রওনা দিলাম ওর সাথে ওদের বাসার উদ্দেশ্য। গেট দিয়ে ঢুকতে বুক ধরফর করে উঠলো, ভিতরটা কেমন আবছা অন্ধকার ছিলো, চার তলায় উঠতে হবে, সিড়ি বেয়ে উঠতে উঠতেই হাপসে উঠলাম। তবে সিড়ি বেয়ে উঠতেও মায়া আমার ভয় দুর করে দিলো, সাহস দিলো।
বাসায় ঢুকতেই ভিতরটা সুন্দর ছিলো একটা ফ্যামিলি বাসায় যতটা গোছালো রাখা যায় ততটাই ছিলো। গিয়ে বসে রইলাম, আর নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে আছি আর অপেক্ষা করছি কখন মায়া আমার সমানে আসবে আর সাহস পাবো। কিন্তু ওর দেখা পাওয়া দুষ্কর ছিলো রীতিমতো। একগ্লাস শরবত, কারন ঘেমে আমার শার্ট টা ভিজে যাওয়ার উপক্রম হইছিলো। ভেবেছিলাম অনেক কিছুই কিন্তু এতো সুন্দর হবে ভাবিনি, খাওয়া দাওয়া শেষ করে মায়াকে বিদায় আর এক-বুক ভরসা দিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
Hi @toushik, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rehan12!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON
Dear @toushik, we need your help!
The Hivebuzz proposal already got important support from the community. However, it lost its funding a few days ago and only needs a few more HP to get funded again.
May we ask you to support it so our team can continue its work this year?
You can do it on Peakd, ecency, Hive.blog or using HiveSigner.
https://peakd.com/me/proposals/199
Your support would be really helpful and you could make a difference.
Thank you!