অবিয়াত্তাদের জন্য অনুপ্রেরণা
কালকে রাতে জ্বরে যখন উকুশ-পুকুশ অবস্থা তখন না শুয়ে শান্তি আর না বসে। বউ জ্বলপট্টি কপালে দিচ্ছে আর মাথা, হাত, পা শরীর টিপে দিচ্ছে। অনেক যেদ করায়ে বউকে শোয়াইলাম। বউ শুয়ে শুয়েই মাথা টিপে দিচ্ছিল।
বউকে কানে কানে বললাম বিয়ে করে এই একটাই লাভ হইছে। এতোদিনে মনে হচ্ছে আমি বিয়ে করেছি। বউ বললো তাহলে জ্বর বারো মাসে থাকাটাই তোমার লাভ। বলেই মাথা টিপার গতিটা বাড়িয়ে দিল। বুঝতে পারতেছিলাম না যে খুশি হয়ে গতি বাড়ালো নাকি রাগ হয়ে। কারণ এই একোই ডায়ালগ এর আগেও বেশ কয়েকবার দিছিলাম।
যাই হোক জোরে বলার মত শক্তি নাই তাই আরেকবার কানের কাছে গিয়ে বললাম মাথা টিপাটা যেন গলা পর্যন্ত না আসে। এই কথা শুনে উনি যে খুশিতে হাসতে ছিলেন তা অন্ধকারেও আঁচ করতে পারতেছিলাম।
রাত যখন তিনটা বিশ মিনিট বউয়ের ঘুম ভাঙ্গে গেলো। ভাঙ্গবেই বা না কেন? গরমের ঠেলাম মেঝেতে বিছানা লাগিয়েছি। কিন্তু মাঝানের এই দুই এক ঘন্টা আমি যন্ত্রণায় একবার বিছানায় গিয়ে হামাগুড়ি খাই আবার কখনো নিচে। এভাবেই চলছিল আমার উপদ্রব।
বউ ঘুম ভাঙ্গেই কপালে পাঁচ আঙ্গুল বসিয়ে চেক করে দেখে জ্বর কমছে কিনা। আমি বললাম না জ্বর এখনো যুবক। ভরা যৌবন চলছে জ্বরের। কি বেপার এখনো ঘুমাও নিই।
আমাকে এই গরমে বদ্ধ ঘরে আর ভালো লাগতেছেনা। বাইরে যাবো বলতেই উনি বলে উঠলো চলো। সাথেই সাথেই দুজনে বেরিয়ে পরলাম।
তখন রাত ৩.২০ মিনিট। বাসার সামনে ১০/১৫ কদম যেতে পায়ের শব্দেই দূর থেকে বেশ কয়েকটা কুত্তা ঘেউ ঘেউ ঘেউ করে তেরে আসতে লাগলো।
বউ মনে হয় আমাকে ছাড়েই পালাবে ভাবতে না ভাবতেই আমার হাতটা শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। আমি বললাম কি বেপার ভয় পাচ্ছো। উনি বললো ভয় পাচ্ছি না তবে তুমি যাতে ভয়ে পালিয়ে না যাও সেই কারনেই মাজবুতিছে পাকরে হ্যায়। যাই হোক কুত্তা আমাকে এলাকার লোক বুঝতে পেরে আর এগিয়ে আসে নিই।
আল্লাহ'র রহমত, ওষুধ, বউয়ের সেবা আর অনেকের দোয়ার একদিনের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ। তাই বউকে বললাম একখান ছবি খিচে দাও।