Amar Ekushey book fair (End Part.)..
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম আমার আরেকটা নতুন পোষ্ট নিয়ে। আজকে অমর একুশে বই মেলাতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করব৷
.....গেট দিয়ে বের হতে যাব এরই মধ্যে চোখে পরল শিশু চত্বর নামের একটা গেট। আসলে গেট দেখেই এতোটা আবেগ কাজ করল, ভিতর না ঢুকে পারলাম না। আবার চলে গপলাম ভিতরে শিশু চত্বরের স্টলগুলো দেখতে। ভিতরে সবগুলোতে শিশুদের বই, মজার বা খেলার ছলে শিক্ষার জন্য বিভিন্ন উপকরণ বিক্রি হচ্ছিল। মূলত বই বেশি ছিল। আমরা বেশ কিছু স্টলগুলো ঘুরে দেখলাম। তারপর প্রথম গেটের দিকে চলে আসলাম বাইরে আসার জন্য।
হঠাৎ রাস্তার অপর পাশে দেখি আরও বড় একটা গেট। সেখানেও লেখা অমর একুশে বই মেলা-২০২৫. তখন, মনে পরল, হয়ত ভিতরে মঞ্চ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের গান, অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আবারও সেই আবেগ নিয়ে ভিতরে প্রবেশ।
ভিতরে ঢুকতেই সজ্জিত একটা মঞ্চ দেখতে পেলাম যেখানে কিছু মানুষ গান গাইতেছেন। সামনে এক দল পুলিশ বাহিনী পাহাড়ার দায়িত্ব পালন করতেছেন। এরপর দেখতে পেলাম, সেই বইয়ের পাতায় পড়া রমনার বটমূল। মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠের সেই বিখ্যাত বড় বট গাছ লাইটিং দিয়ে সাজানো। অনেকটা জায়গা জুরে গাছটা বিস্তৃত। সুন্দর লাইটিং সজ্জায় সজ্জিত। দেখতে অপরূপ সুন্দর লাগতেছিল। পাশের দিকে ছিল বিভিন্ন চলচিত্রের স্টলগুলো। আমরা সামনে দেখলাম একটা রেস্টুরেন্টে ব্যানার। ভাবলাম দাম কম হলে কিছু খেয়ে যায়৷ সিরি দিয়ে দ্বিতীয় তলাতে উঠে গেলাম।
উপরে উঠে গিয়ে আগে মেনু কার্ডটা দেখে নিলাম। তারপর ভাবলাম তিনজন মিলে মোগলাই পরোটা খায়। কিন্তু অডার দিতে গিয়ে শুনি সেটা শেষ আজকে আর হবে না। আমরাও আর অন্য কিছু খাওয়ার মনঃস্থির করলাম না।
বাইরে এসে রিকসা খুজতেছিলাম ঢাকা নিউ মার্কেট যাওয়ার জন্য। সেখান থেকে বাসে করে গাজিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবো। কিন্তু কোনো রিকসাই নিউমার্কেটের দিকে যেতে চায় না। এজন্য বেশ কিছুটা দূর হেটে মেইন রাস্তার দিকে চলে যেতে হলো। যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখা নামটার শেষ ছবি তুললাম। যেটা মেট্রো স্টেশনের ব্রিডিং এর উপর লেখা ছিল।
এরপর একটা রিকসা নিয়ে চলে আসলাম ঢাকা নিউ মার্কেট। সেখান থেকে বাসে করে রাত ৯ টার দিকে রওনা হলাম আমাদের গন্তব্যে গাজিপুরের উদ্দেশ্যে। সেদিন সারাটা দিন রোজা রেখেও অনেক জায়গায় ঘুরেছিলাম। যদিও শরীরের উপর অনেক বেশি প্রেসার কাজ করেছিল যেটা আমি বিছানায় শুয়ে বুঝতে পেরেছিলাম৷ পুরো শরীর প্রচন্ড ব্যাথা হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক আপনাদের সাথে একুশের বই মেলাতে ভ্রমণ নিয়ে তিনটা পর্ব শেয়ার করলাম। আগের দুইটা ছিল আর আজকে শেষ পর্ব। যারা পরেছেন। আশা করি ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার পরবর্তী নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।