Textile fair।। বস্ত্র মেলা।।
চারদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হলো টেক্সটাইল ফেয়ার বা বস্ত্র মেলা। আজকে ছিল এই মেলার চতুর্থ দিন অর্থাৎ শেষদিন। এই মেলাটি মূলত টেক্সটাইল সেক্টরে একটা গার্মেন্টস তৈরি করতে যা যা লাগে অর্থাৎ ইয়ার্ন, ফেব্রিক, ডায়িং কালার, প্রিন্টিং পেস্ট, কেমিক্যালস, বিভিন্ন মেশিনস এই সব কিছুর একটা মেলা। এই বস্ত্র মেলাটা ছিল টেক্সটাইল সেক্টরের সবচেয়ে বড় বড় তিনটা দেশ চীন, বাংলাদেশ ও ভারত এর সমন্বয়ে বৃহৎ পরিসরের একটা মেলা।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮২ শতাংশ আয় আসে এই টেক্সটাইল সেক্টর থেকে। বাকি ১৮ শতাংশ আসে অন্যান্য সেক্টর থেকে। শুধু মাত্র বস্ত্র শিল্প থেকে অত পরিমাণে রপ্তানি আয় হয়, যেটা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অনেক শক্তিশালী একটা অস্ত্র। আর পুরো বিশ্বে বস্ত্র শিল্পের রপ্তানি আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় স্থানে। আর প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। করোনা মহামারীর সময় বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প উৎপাদনে একটু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটা এখন আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। নতুন করে আবার জ্বলতে শুরু করেছে টেক্সটাইল সেক্টর।
বস্ত্র শিল্পের এই মেলাটির সবগুলা স্টল সাজানো হয়েছে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা তে।এই বস্ত্র মেলাটা হওয়াতে তিনটা দেশেরই অনেক উপকার হবে। কারণ আমাদের দেশের বেশির ভাগ ফেব্রিক, প্রিন্টিং পেস্ট, ডায়িং কালার, কেমিকালস, মেশিন আসে বাইরের দেশ থেকে। আর এই মেলার কারণে চীন ও ভারত তাদের দেশের যে যে ফেব্রিক, ইয়ার্ন, ডায়িং কালার, কেমিক্যালস, মেশিন আছে সেগুলো আমাদের দেশের যে যে ইন্ডাস্ট্রি আছে, তারা তাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো দেখতে পারতেছে। আবার এইগুলোর মধ্যে ভালো খারাপ তুলনা করতে পারতেছেন খুব সহজেই। এতে করে আমরা তাদের ভালো ভালো কোয়ালিটিফুল প্রোডাক্টস, মেশিন তাদের কাছে থেকে অর্ডার করতে পারবো। এর ফলে আমাদের দেশের টেক্সটাইল সেক্টর আরো ভালো কিছু করতে পারবে এবং আমাদের গার্মেন্টস গুলো আরো ইমপ্রুভ করা সম্ভব।
এতে করে আমাদের দেশের ও লাভ হচ্ছে আবার তারাও তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারছে। আবার আমাদের দেশের ও অনেক পণ্য এই মেলায় উপস্থাপন করা হয়। সেগুলো আমাদের দেশের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির জন্য ও অন্যান্য দেশের মানুষজন সেটা দেখতে পারছে। পছন্দ হলে সেটা তারা নিজেদের জন্য ক্রয় করতে পারবে।
আজকে সকালে আমরা বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যাই এই বস্ত্র মেলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আমরা সকাল সাড়ে দশটার দিকে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে উপস্থিত হই। সেখানে যাওয়ার পর আমরা একে একে করে সব গুলা হল ঘুরে দেখি। সেখানে ৫ টা হল নিয়ে তারা তাদের সব গুলা বুথ সাজিয়েছে। এক একটা হলে প্রায় ৭০ টা করে বুথ ছিল। ৫ টা হল ৫টা ভাগে ভাগ করা ছিল। ১টা হল ইয়ার্ন এর জন্য, ১ টা ফেব্রিক এর জন্য, ১টা ডায়িং কালার, প্রিন্টিং পেস্ট এর জন্য , ১ টা বিভিন্ন মেশিন এর জন্য। প্রতিটা হল অনেক সুন্দর করে করে সাজানো হয়েছে।
আজকের এই মেলাতে যাওয়ার ফলে অনেক কিছু জানতে পারছি,অনেক কিছু দেখতে পড়ছি। যেটা আমাদের অজানা ছিল। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র হিসেবে আজকের এই টেক্সটাইল ফেয়ার টা অনেক গুরুত্ব পূর্ণ ছিল, নিজেদের জ্ঞানকে প্রসারিত করার জন্য।