Another Unsuccessful tournament for Bangladesh !
আবারো রচিত হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একটি ব্যর্থতার গল্প। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অর্জনটা একেবারেই শূন্য। বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা দলটি এখনও পর্যন্ত কোন শিরোপা জয় করতে সক্ষম হয়নি। শুনে অনেকটাই অবাক হওয়ার মতো না? কিন্তু এটাই বাস্তবতা। তবে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছিল শিরোপা জয় করে নেওয়ার। কিন্তু বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দল। যেখানে বাংলাদেশের নারীরাও জয় করে এশিয়া কাপ; সেখানে ব্যর্থ সাকিব তামিমরা!
এবারের এশিয়া কাপকে ঘিরে স্বপ্নটা বেশি ছিলো বাংলাদেশ দলের। বিগত কয়েক বছর ধরে ওয়ান ডে ফরমেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিলো প্রশংসা পাওয়ার মত। অন্য দুই ফরমেট এর তুলনায় এই ফরমেটটিতে বাংলাদেশ ভালো করবে এমনটাই প্রত্যাশা ভক্তদের । এবারের এশিয়া কাপও অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওডিয়াই ফরমেটে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই এশিয়া কাপ আয়োজিত হচ্ছে ৫০ ওভারের ওডিয়াই ফরম্যাটে। তাইতো এশিয়া কাপে ভালো পারফরম্যান্সের আশা করেছিলো ভক্ত সমর্থকেরা। কিন্তু আবারো হতাশ হতে হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।
এবারের এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলংকার বিপক্ষে। সাম্প্রতিক ফর্ম এবং দলগত বিবেচনায় ম্যাচটিতে এগিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করলেও বাছাইপর্ব থেকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে শ্রীলংকা। তাই অনেকেই আশা করেছিলো বাংলাদেশ শ্রীলংকার বিপক্ষে সহজেই জয় পাবে। কিন্তু মাঠের লড়াই প্রেক্ষাপট ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। প্রথমে ব্যাট করতে বাংলাদেশ মাত্র ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। অপরদিকে বাংলাদেশের দেওয়া টার্গেটে ব্যাটিং করতে এসে পাচ উইকেটের জয় পায় শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে হারার ফলে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের সুপার ফোরে কোয়ালিফাই নিয়েও!
ডু অর ডাই ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। শ্রীলংকার সাথে এমন বাজে পারফরমেন্সের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা মোটেও সহজ ছিলোনা বাংলাদেশের জন্য। তাছাড়া এশিয়ার মাটিতে আফগানিস্তানের বোলিং খুবই শক্তিশালী। রশিদ, মুজিব আর ফারুকীদের বিপক্ষে রান সংগ্রহ করাটা ছিলো কঠিন কাজ। আর সেই কঠিন কাজকেই সহজ করে বিশাল জয়ে পেয়েছিলো বাংলাদেশ দল। নাজমুল হাসান শান্ত এবং মেহেদী হাসান মিরাজের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৩৩০+ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। পরবর্তীতে আফগানদের ২৫০+ পার হওয়ার আগেই অল-আউট করলে রান রেটে এগিয়ে থেকে সুপার ফোরে কোয়ালিফাইং করে বাংলাদেশ।
সুপার ফোরের লড়াইয়ে প্রথমে ম্যচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানি বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। একের পর এক উইকেট হারিয়ে অল্প রানেই গুটিয়ে যায় দল। ফলে সহজ জয় পায় পাকিস্তান। সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় শ্রীলংকা বিপক্ষে। এই ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২১ রানে হারতে হয় সাকিব - মিরাজদের। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের ঘন্টা বাজে বাংলাদেশের । সেই সাথে সমাপ্তি ঘটে আরেকটি অপূর্ণ প্রতিযোগিতার!
ACC
দেশের বাহিরে এদের কখনও ভালো করতে দেখি না
কথা ঠিক বলেছন।
শেষ সময় এসে ইন্ডিয়া রে বাশ দিয়ে দিলো !