ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড 💥
BANGLADEDH CRICKET : THE TIGERS
দুর্দান্ত এক জয় দিয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ দল। ঘরের মাটিতে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ওডিআই সিরিজ হাতছাড়া করার পর শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছিলো তামিম বাহীনি। তবে সেই জয় পর্যাপ্ত ছিলোনা শিরোপাটা নিজেদের করে নেওয়ার জন্য। শুধু হোয়াইট ওয়াশের লজ্জাটাই এড়াতে পেরেছিলো বাঙালিরা। সেই সাথে দীর্ঘদিন পর ঘরের মাটিতে কোন ওডিয়াই সিরিজ হারার স্বাদ পেলো টাইগার বাহিনী
ওডিয়াই সিরিজে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে না পারলেও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাদের পারফরমেন্স ছিল এককথায় দুর্দান্ত। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি ফরমেটের দ্বিতীয় দেখাতেই হারিয়েছে তারা। তাও আবার ছয় উইকেটের বিনিময়ে।
এই ম্যাচটি অনুষ্টিত হয়েছিলো বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ সময় দুইটায় শুরু হয় ম্যাচটি।
শুরুতে টসে জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন শাকিব আল হাসান। দলের হয়ে এদিন অভিষেক হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা তৌহিদ হৃদয়ের। সাথে দীর্ঘ আট বছর পরে দলে ফিরেন রনি তালুকদার। এদিন তিন পেসার নিয়ে স্কোয়াড সাজায় বাংলাদেশের কোচ।
ইংল্যান্ডের হয়ে ওপেনিং আসে ক্যাপ্টেন ডেভিড মালান এবং ফিলিপ সল্ট। তারা দুজনে ইংল্যান্ডের পক্ষে উড়ন্ত সূচনা নিয়ে আসে। ৮০ রানের এক অনবদ্য জুটি গড়ে বড়ো সংগ্রহের আবাস দিচ্ছিলোই ইংল্যান্ড। তবে সেই জুটি ভেঙ্গে দলকে ম্যাচে ফিরায় নাসুম আহমেদ । তার বিদায়ের কিছু সময় পড়েই সাকিবের বলে নাজমুল হাসান শান্তর হাতে কেচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডেবিড মালানও।
ইংল্যান্ডের পক্ষে দলকে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো কাপ্তান জস বাটলার। একটা সময় মনে হচ্ছিলো ইংল্যান্ড ১৮০ রান ছাড়িয়ে যাবে। সেই সময়টাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে হাসান মাহমুদ এর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ১৫৬ রানেই আটকে দিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলদেশ।
ইংল্যান্ডের দেওয়া সংগ্রহ চেজ করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও হয়েছিলো বলার মতোই। দীর্ঘ আট বছর পর দলে ফিরে রনি তালুকদার একটা ছোট ক্যামিও ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে। তবে তার কিছুক্ষণ পরেই ক্যাচ তুলে দিয়ে লিটন মাঠ ছাড়লে চাপে পরে বাংলদেশ দল। তবে সেই চাপ বুঝতেই দেয়নি নাজমুল হাসান শান্ত আর ডেভুটেন্ট তৌহিদ হৃদয়। এই দুজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ম্যাচটি বাংলাদেশের পক্ষে চলে আসে। শেষ দিকে আফিফ এবং সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ফিনিশিং দুই ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেটে বিনিময়ে জয় পায় বাংলাদেশ দল।
সেই সাথে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় পেলো বাঙালিরা। আশা করছি পরে ম্যাচেও জয় তুলে নিয়ে সিরিজ জয়ের শিরোপাটা নিজেদের করে নিবে সাকিব বাহিনী।
Hi @fa-him, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON