Iftar with Kacchi 🍽️🧆

avatar
(Edited)

চলছে মুসলিম জাতির পবিত্রতম মাস মাহে রমাদান। ক্ষমা, আত্মশুদ্ধতা, আর ত্যাগের এই মাসটিতে সবাই ব্যস্ত সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে। সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সমস্ত প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই রোযা।

ইতিমধ্যে ২৩ টি মহামূল্যবান রোযা বিদায় নিয়েছে আমাদের কাছ থেকে। চারদিকে প্রচন্ড গরম খুবই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে রোযাদারদের জন্য। যখন পুরো বিশ্ব হেরে গেছে এই তাপমাত্রার কাছে, তখন রোজাদারদের কাছে হেরে গেছে এই প্রচন্ড গরম। কেননা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে একজন ঈমানদার এই তাপমাত্রাকে তোয়াক্কা করেনা!

যাইহোক চাকরি জীবনে এটাই আমার প্রথম রমাদান। এর আগের সময়গুলোতে রোযার মাসে বাড়িতেই থাকা হতো। সারাদিন শুয়ে বসে সময় কাটিয়ে দিতাম। সেহরী খেয়ে ফজরের নামাজটা আদায় এক ঘুমেই বেলা বারোটা। তাই রোযা রাখাটা তখনকার সময়ে অপেক্ষাকৃত সহজ ছিল বটে!

পরস্তিতি আর পরিবেশ বদলে দিয়েছে সব কিছুই। প্রথমবারের মতো চাকরি জীবনে রোযার সম্মুখীন। শুরুতে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছিলো ভালোই, তবে সময়ের সাপেক্ষে তা এখন ঠিকঠাক। রোযার ফলে অফিস টাইমও পরিবর্তিত হয়েছে। এখন সকাল ৯ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত অফিস করেই বাসায়। তারপর সেহেরির জন্য রান্নাবান্না করেই দিন পার!

যাইহোক হঠাৎ করেই অফিস কলিগরা মিলে একসাথে ইফতার করার প্রস্তাব আসে। ব্যস্ততার কারনে অন্য কোথাও একসাথে ইফতার করা হয়ে ঊঠেনি এবার। অন্যান্য সময় দেখা যেতো বন্ধুরা মিলের কয়েকটা ইফতার পার্টি করা হয়ে যতো। তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম একসাথে সবাই মিলে একদিন ইফতার করা যায় কোথাও।

পরিকল্পনা মতোই অফিসের গাড়িতে করে আমরা হাজির উত্তরার কাচ্চি দরবার রেস্টুরেন্টে। সেখানেই কাচ্চি আর বোরহানি দিয়ে ইফতার করতে করতে গল্প আড্ডা জমে ঊঠে আমাদের। সবমিলিয়ে একটি ভালো দিন ছিলো আজ!!


received_769696157837352.jpeg
received_145802761569259.jpeg



0
0
0.000
3 comments